আমার যেদিন অনেক টাকা হবে, সেদিন আমি তোমারে একটা ব্যাক্তিগত জীবন কিন্ন্যা দিব।


মা'কে প্রায়শই আমার একটা চিঠি লিখতে ইচ্ছা করে। কাগজি লেবুর মতো সবুজ থেকে ক্রমশই হলদে হয়ে যায় আমার সারাটা দুপুর চিঠিতে কী লিখবো তা ভাবতে ভাবতে।

আমি ভাবি মায়েরে জিজ্ঞেস করব, কোন দুঃখটা মায়ের নরম মনকে বেশি পোড়ায়? তারপরে মনে পড়ে, মায়ের সবচেয়ে বড় দুঃখ তো আমি নিজে।আমি ছাড়া তো আমার মায়ের দ্বিতীয় বড় আর কোন দুঃখ নাই।

আরও ভাবি জানতে চাইবো, মায়ের শরীরটা কেমন যাচ্ছে? এই আলাপের এক ফাঁকে লিখে ফেলব, মায়েরে নিয়া আমার একদিন পাহাড় দেখতে যাওয়া শখের কথা।

কমরের ব্যাথার কথা লিখে লাভ নাই— প্রতিবার এই প্রশ্নের উত্তরে মা হাসবেন। ওই হাসি অতি সাধারণ শুঁকনো হাসি। এমনভাবে মা হাসেন যেন প্রত্যেক মায়েরই কমরের ব্যাথা থাকাটা ঈশ্বরের এক নিষ্ঠুরতম বিধান।

মা'য়েরে প্রায়শই একটা চিঠি লিখতে ইচ্ছে করে আমার—

ছোটবেলায় মায়ের আমারে দেয়া মিথ্যে শান্ত্বনার মতো আমারও মায়েরে শান্ত্বনা দিয়ে চিঠিতে লিখে ইচ্ছে করে, মা তুমি খোদার কাছে মৃত্যু চাইয়োও না আর; ছাইড়া যাইতে চাইয়োও না আমারেও কোনদিন।

কিনতে পাওয়া গেলে— আমার যেদিন অনেক টাকা হবে, সেদিন আমি তোমারে একটা ব্যাক্তিগত জীবন কিন্ন্যা দিব।

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post