তুমি চেয়েছিলে,
তোমার চোখে তাকাই— আমি তাকালাম,
তুমি চেয়েছিলে কাছে ডাকি— আমি ডাকলাম,
তুমি চেয়েছিলে পাশে বসি— আমি বসলাম।
তারপর আমি বললাম, থেকে যাবে তো?
তুমি বললে ছাড়বো না কখনো ।
আমি বললাম, আমি কবিতা ভালবাসি ।
তুমি বললে কবিতা হবো।
ডাক দিয়ে পাশে বসিয়ে—
আমি লিখতে বসলাম তোমার চোখে চেয়ে।
তারপর কেটে গেলো আড়াই বসন্তের কবিতার দিন। আবৃত্তি করবো ভেবে যখন সুরে তুললাম তুমি তখন মনের বাইরে একটু একটু করে দূরে সরিয়ে দিচ্ছো! অতঃপর কবিতার মৃত্যুতে নোটিশ টানিয়ে বললে, তোমার চোখ নেই, কান নেই, ডাক শুনো না আমার, মাটিতে বসতে পারো না?
আমি বুঝলাম অবশেষে—
তুমি কবিতা নও, অংক ছিলে। আমি ঠিক বুঝতে পারিনি, কবিতা ভেবে মুখস্থ করে নিয়েছিলাম।
কিন্তু অংক মুখস্থ করে লাভ নেই সূত্র বুঝতে হবে।
ছেড়ে যাওয়ার কথায় আমি আকুলতা উদযাপন করে দারস্থ যখন তোমার চোখে,
তুমি তখন হিসাব বিজ্ঞানের জটিল সমীকরণের মতোই তোমার মনের অনিশ্চিত হিসাব দেখিয়ে ডেবিট ক্রেডিটের দেয়াল তুলে দিলে।
আমাকে ছেড়ে যাওয়ার দেয়াল দেখিয়ে দিলে অজুহাত নামক যন্ত্রে যাতনার অংক।
আমি বললাম, ভালবাসি এখানে অজুহাত বেমানান। তুমি বললে, আমি দেনাদার তুমি পাওনাদার।
হিসাব বিজ্ঞানের চুড়ান্ত হিসাব ফলাফল যেখানে দুজনের জন্য দু'টো আলাদা ঘর, মাঝখানে দৃশ্যমান দেয়াল। বুঝো না?
আমি এবার সত্যি সত্যি বুঝলাম, আমি কবিতা ভালবাসতাম তুমি অংকে পাকা মানুষ।