যেদিন থেকে আমি তোমাকে ভালোবাসি বলেছি, আর তোমার চোখে দিয়ে নিজেকে দেখা আরম্ভ করেছি সেইদিন থেকে আমি অন্ধ। একটা মানুষ যখন আরেকটা মানুষকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে, তখন সে নিজের থেকেও বেশি ওই মানুষের যত্ন করে, ওই মানুষটার ভিতরে নিজের ছায়া খোঁজে। আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে, তুমি এককাপ গরম চা আর আমি একটা সল্টেজ বিস্কেটের মত তোমার ভেতরে ডুব দিয়ে ভেঙেচুরে মিশে যাচ্ছি তোমার অভ্যাসে, স্বাভাবে। আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে তোমার জন্যে সব করতে পারি সব। প্রবল ঝড়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে পারি তোমার জন্য। গোটা একটা পৃথিবী কাগজে ঠোঙায় ভরে তোমার হাতে তুলে দিয়ে বলতে পারি, আমি তোমাকে ভালোবাসি, এই নাও তোমার জন্য সমান্য উপহার। যেহতু আমি তোমার মাঝে ডুবেছি, তুমি চাইলে আমার ব্যক্তিত্ব টেনে আমাকে বেহায়া প্রেমিক বলে দু'চরটা কথা শুনাতে পারো। তুমি চাইলেই পারো আদরের চাদরে ফুলসজ্জা বানাতে, তুমি চাইলেই পারো ঘৃণার ঢেঁকুর তুলে অন্তিমসজ্জা বানাতে। রাগ, অভিমান, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে পারো। ভালোবাসার কাঙালরা বরাবরই বেহায়া। আমি দিব্যি মেনে নিবো ওসব কিন্তু, যে চোখ দুটো নিয়ে আমি কবিতা আওড়াই, সেই দুটি চোখে তুমি যদি আমার অগোচরে ভুলেও অন্য মানুষ নিয়ে স্বপ্ন দেখো, অন্য কারোর চোখে প্রেম খোঁজো, অন্য নদীতে না'ও ভাসাইতে চাও, অন্যে আকাশের ঘুড়ি হবার শখ বাসা বাঁধে মনে তোমার, তবে আমি ঈর্ষা করবো। পৃথিবীতে সাতশো কোটি মানুষের ভীড়ে একটিও মানুষ ও যদি না থাকে তোমাকে ঘৃণা করার, তবে ঐ সাতশো কোটির মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে তোমাকে আমি ঘৃণা করবো। বিশ্বাসের ঘরের মাঝে আগুন দিলে সেই আগুনে আমি তোমাকে পোড়াব খুব। দু'আঙুল গলা অবধি ঢুকিয়ে তোমার নামে ঘৃণার বোমি করে দিবো। যে শহরে তোমার পায়ের ছাপ পড়বে সে শহরের ধুলাও আমি আর গায়ে মাখবো না।
আমার অভিধানে শয়তানের ক্ষমা থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু বিশ্বাসঘাত ও প্রতারকের কোনো ক্ষমা নেই ।
বিশ্বাস করো এ আমি আমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে বলছি। ধরো আমার শরীরে নাম না জানা কোন অসুখ বাসা বেঁধেছে, মৃত্যুর কালো ছায়া বুকের উপর বসে কুড়োল মারছে, মৃত্যুর যন্ত্রণায় আমি কাতরাচ্ছি, ওই মুহূর্তেও তুমি যদি বাঁচার একমাত্র ওষুধও হও, আমি হাসতে হাসতে মৃত্যু ছুঁয়ে দিবো তবু তোমাক ছুঁবো না।