প্রেম পড়েছিলাম একজনের একবার। শুধু প্রেমে পড়েছি বললে ভুল হবে, আসলে খুব ভালোবাসছিলাম। সে আমারে এমন স্পেশাল ফিল করাইছে মনে হইছে তারে ছাড়া চলবো না। হারাই যাওনের কথা উঠলে সে কান্নাকাটি কইরা কইতো, আপনে ছাইড়া গেলে মইরা যামু, সত্যি সত্যি মইরা যামু।
তারপর একদিন সে নিজেই ছাইড়া গেল। হঠাৎ। আমার আকুতি মিনতি কোনোকিছুই তারে আর আটকাইতে পারলো না। সেই চলে গেলো ফিরেও দেখলো না। হঠাৎ একা হয়ে যাওয়াতে চারপাশ এত সংকীর্ণ হয়ে আসলো, নিজেরে মেনে নিতে কষ্ট হইতো খুব। মাঝেমধ্যে মনে হইত বোধহয় আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি, আমি বোধহয় বেশিদিন আর বাঁচব না। মরে যেতেও ইচ্ছে হতো।
মানুসিক ট্রমা নিয়ে আমি দিনের পর দিন তাঁর চলে যাবার কারণ খুঁজেছি। কি দোষ আমার! কি করিনি? কি ছিল না আমার? মাবুদ সে তো ভিন্ন মানুষ না, আমি কি তারে ভালোবাসি নাই? ইত্যাদি, ইত্যাদি।
তারপর একদিন নিজে নিজেই বুঝলাম আসলে ভালোবাসাটাই সবকিছু না। ভালোবাসার আগে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যারে ভালোবাসি সে আমারে ভালোবাসে কি না, যারে চাই সে আমারে চায় কি না। মন থেকে নাকি কোনো জিনিস চাইলে সেই জিনিস মিলাই দেবার জন্য পুরো
দুনিয়া সাহায্য করে। সে তো আর আমারে চায় নাই, সে তো আর আমারে ভালোবাসে নাই।
তাকে ছাড়া এখন তো বেশ দিব্যি আছি। ভালো আছি। বেঁচে আছি। ক্ষত কখনও পুরোপুরি মুছে যায় না। হঠাৎ হঠাৎ কোনো কোনো ঝিরঝিরে বৃষ্টির সন্ধ্যায়, অথবা জোছনায় গলা রাত্তিরে ওবসব ক্ষত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। সেই মুহূর্তে ইচ্ছে করে আরও একবার তার সামনে দাঁড়িয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি, কেন ভালোবাসলেন না আমায়? কেন থেকে গেলেন না? কি অপরাধ ছিল আমার? আমি কি সত্যিই ভালোবাসার মত মানুষ ছিলাম না?