তোমার ওই ক্লান্ত চোখে আমি দেখেছি সব! দেখেছি ব্যর্থতা, হেরে যাওয়া। দেখেছি প্রয়োজন শেষে ছুড়ে ফেলা। দেখেছি কতোটা অগোছালো তুমি! দুমড়েমুচড়ে সমস্ত ভেঙে যাওয়া। অথচ সবকিছুর আড়ালে চাপা পড়ে যাওয়া কি গভীর নিরেট মায়াভরা ভালোবাসা তুমি আজও পুষে রাখো! কতটা যত্নে, সন্তর্পণে, সবার আড়ালে! যে ভালোবাসায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া তুমি আজও বেঁচে থাকো! যেনো পুরো সাহারার উত্তপ্ত বালিতে জীবনের মায়া ছেড়ে প্রতিকূলতার বিদ্রোহ ঘোষনা করে মাথাচাড়া দিয়ে ঠায় দাড়িয়ে আছে এক বটগাছ। যার জীবনের মায়া নেই, তাকে হারায় কে বলো? তোমার ওই নিরেট ভালোবাসা দাড়িয়ে গেছে শত প্রতিকূলতায়। কেবল তুমি হেরে গেলেই হেরে যাবে! তোমাকে হারতে না দেবার যেই তুমূল বিদ্ৰোহ ওরা করে যায়, তুমি দেখো না? আমি তো দেখি! সবার অগোচরেই আমি দেখে যাই নীরব প্রেম, নিস্তব্ধ কান্না, বিষণ্ণ হাসি, নির্বাক হাহাকারের চিৎকার! কত কী!
প্রিয় তুমি,
আমার আকাশটা দেখেছো কখনো? দেখেছো আমার মায়ান্তরী নদী? ওর তীরের স্নিগ্ধ কোমল রূপ? সবার আগোচরে যা লুকিয়ে রাখি আমি! ক্লান্তির বিষাদে হাসফাস লাগে, এই পৃথিবীর বাতাসে দম নেয়া যায় না, মরে যাচ্ছি, মরে যাই, এমন কোনো মুহূর্তে ছুটে এসো হঠাৎ, তোমার গভীরের ওই নিরেট সবুজটাকে বাঁচাবো আমি।