এইযে তুমি বলো আমি তোমার শরীরের জন্য ভালোবাসি, আমি কি তা অস্বীকার করেছি, কখনও শরীর ছাড়া ভালোবাসা যাই নাকি? ভালোবাসার জন্য একটা অবয়ব দরকার হয়।
শুধু
ঈশ্বরকে ভালোবাসতে অবয়ব লাগে না। যেহেতু তুমি ঈশ্বর নও, সেহেতু তোমাকে ভালোবাসতে আমার
শরীর প্রয়োজন হয়।
তবে
আমি শরীরের জন্য ভালোবাসি না, ভালোবাসি বলে শরীর চাই,শুধু একটা কোমল দেহ, পুটস্পুলিত
স্তন, গভীর যৌনি , কিংবা একটা সমস্ত শরীর প্রয়োজন হলে তোমাকেই কেন লাগবে? এই একই জিনিস
আমি একটা বেশ্যার ঘরে পাই। বেশ্যার ও তো তোমার মত দুটো স্তন আছে, গভীর যৌনি আছে, কোমল
শরীর আছে, তবে কেনই বা তোমাই লাগবে?
কেন
আমি তোমাকেই চাই?
কেন
তোমার শরীরে চাই?
কারণ
আমি তোমাকে ভালোবাসি।
তোমার
নুনের সমুদ্রে মদ প্রান করে, আমি নেশাগ্রস্ত হতে চাই। বেশ্যার ও পায়ে কেউ চুমু খাই?
বেশ্যারা ও কি এমন ভাবে ভালোবাসা পাই?
তুমি
যতবার আমাকে ফিরিয়ে দাও মনে হই ততবার আমি তোমাকে ভালোবাসি।
মানুষ
ভালোবাসলে ধৈর্য্যশীল হয়ে যাই, ক্ষণে ক্ষণে অপমানিত হওয়া তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাই।
তুমি
আমাকে রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দাও এতে আমার বিন্দু মাত্র কষ্ট হয় না, আবার
এটাও মনে হয় না, তুমি আমার ভুল কেউ, কিংবা আমার খারাপ চাও।
এইযে
আমি তোমাকে বার বার ভালোবাসি বলি, তুমি এইতে বিরক্ত হও, সেটাতেও আমি আনন্দ পাই।
আমি
যতবার ভালোবাসি বলে অপমানিত হয়েছি ততবার আমার হওয়ার কথা ছিলোনা, আমি যতটা গুরুত্ব দিয়ে
তোমাকে ভালোবেসেছি, ততবার গুরুত্ব আমার দেয়ার কথা ছিল না।
কিংবা
তুমি আমাকে যতটা অপমান করে কথা বলো, কিংবা অপমান করো, ততটা অপমান পাওয়ার যোগ্য আমি
না।
তার
পরেও আমি সব মেনে সব হেসে খেলে উড়িয়ে দি।
কারণ
আমি তোমাকে ভালোবাসি।
একজন
ভালোবাসার মানুষের জন্য মানুষ পৃথিবীতে অনেক কিছুই করে বসে, তাই বলে কেউ ভালোবাসলে
তার ভালোবাসার গুরুত্ব দিতে হয়। এইভাবে তুমি আমাকে বার বার তাড়িয়ে দিয়ে অপমান করা কিংবা
বিতাড়িত করে দেয়া,এইগুলার একটা সমাধান হওয়া উচিৎ। তোমারও আমাকে ভালোবাসা উচিৎ।